কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী মাস্টার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোসেফ আলী ও সাবেক সভাপতি জাইদুল হক ৩ মাস পূর্বে একজন আয়া ও একজন অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগের বিপরীতে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য তাদের নিকট থেকে ১৯ লাখ টাকা গ্রহণ করে।
দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটি জরাজীর্ণ অবস্থা থাকার পরেও বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজ না করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা এর প্রতিকার চেয়ে ইউএনও ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন ইউএনও।
এর প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রামাণাদিসহ উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দিলেও নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হননি প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি বলে জানিয়েছেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আবদুস সালাম। অপরদিকে দফায় দফায় বৈঠক করে কোন লাভ না হওয়ায় এলাকায় মাইকিং করে এলাকাবাসী।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা প্রতিনিধিরা প্রাধান শিক্ষককে নিয়ে বৈঠক করলেও কোন সুরাহা না পাওয়ায় উত্তেজিত এলাকাবাসী প্রাধান শিক্ষককে দেড় ঘণ্টা অফিস রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম শাওন উপজেলা প্রতিনিধি স্বাধীন, হাসনাত ও আরিফ জানান, ১৯ লাখ টাকা নেয়ার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আমাদের বলেছেন তিনি টাকা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এটি সমাধানে আমরা অপারকতা প্রকাশ করছি।
এলাকাবাসী খলিলুর রহমান মিঠু, আজিজুল হক ও খলিল জানান, প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি। ইতোমধ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি একাউন্টের মাধ্যমে সাত লাখ টাকা ব্যাংকে জমা হলেও বাকি টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক টালবাহানা করছে, আজকে একটি তদন্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি, এখন আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে খতিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করব।
আজোয়াটারী মাস্টার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোসেফ আলী জানান, এই নিয়োগে আমি কোন প্রকার টাকা গ্রহণ করিনি, একটি পক্ষ আমার কাছে প্রায় চাঁদা দাবি করে আসছে, চাঁদা না পেয়ে আজকে আমাকে অফিস কক্ষে অবরোধ করে রেখেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের দিন উপস্থিত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে আজোয়াটারী মাস্টার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জাইদুল হক জানান, একাডেমিক সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা হয়েছে তিনি আমাদের জানিয়েছেন তদন্তে নাকি অভিযোগ ভুয়া পেয়েছেন।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম মুঠোফোনে জানান, আজকে তদন্ত ছিল আমার এখানে কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি আসার কথা থাকলেও তারা আসেন নি। গত বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক ফোন করে বলেছিলেন আমরা বিষয়টা সমাধান করব। আজকে স্কুলে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটি আমাকে কেউ জানায়নি আর আমি জানি না।
টিএইচ